Skip to main content

প্রকৃতির অসাধারণ উপহার “শুভলং ঝরনা”

কর্মময় জীবনে কাজ-কর্ম করতে করতে
আমরা হাঁপিয়ে উঠি, আবার প্রতিটি দিন
একই রকম কাজ করতে করতে কখনও কখনও
একঘেয়েমী জীবন মনে হয় আমাদের।
তাই মনটাকে সতেজ করতে অবশ্যই একটু
ঘুরে বেড়ানো অতি জরুরী।
নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের অপার আঁধার,
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি। তাই পার্বত্য
শহর রাঙামাটি পর্যটকদের কাছে অতি
প্রিয় একটি নাম। পর্যটন শিল্পের অপার
সম্ভামনাময় জেলা হচ্ছে রাঙামাটি
জেলা। এখানের পর্যটন ষ্পটে প্রতি বছর
হাজার হাজার পর্যটকের ভির জমে।
রাঙ্গামাটি বেড়াতে এসে কখনো মন
খারাপ করে বাড়ি ফেরে না কেউ।
প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটকের
পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে এই অঞ্চল। প্রকৃতির
কোমল পরশে সজীব হয়ে ওঠে পার্বত্য
প্রকৃতি। আর সেই দৃশ্য নয়নভরে উপভোগ
করতে বেড়াতে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা।
রাঙামাটি সদর হতে শুভলং এর দূরত্ব মাত্র
২৫ কিলোমিটার। রাঙামাটির রিজার্ভ
বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাঙামাটি বিভিন্ন
স্থান থেকে স্পিড বোট ও নৌ-যানে
করে সহজেই শুভলং যাওয়া যায়। কাপ্তাই
লেক ঘুরতে হ্রদে দেশীয় ইঞ্জিন চালিত
বোট অথবা স্পীড বোটে চড়ে বেরুলে
প্রথমেই চোখ যাবে পাহাড়ের কোল
থেকে নেমে আসা শুভলং ঝর্ণার দিকে।
বোটে করে শুভলং যাওয়ার আনন্দটাই
অন্যরকম।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে যে কয়েকটি
পাহাড়ি ঝর্ণা বা ঝিরি রয়েছে তার
মধ্যে রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলায়
অবস্থিত শুভলং ঝর্ণা অন্যতম। মূলত পাহাড়ী
সবুজের মাঝে বিস্ময় হয়ে থাকা এই
ঝর্ণাটি তার উচ্চতা ও অবিরাম
জলস্রোতের কারণেই পর্যটকদের দৃষ্টি
আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
শুভলং ঝর্ণার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক
হলো, একক কোনো ধারায় না পড়ে এই
ঝর্ণাটি তার উঁচু অবস্থান থেকে ছোট
ছোট বেশ কয়েকটি ধারায় একই
সমান্তরালে নেমে আসে। ফলে ঝর্ণা
থেকে পড়া পানির ধারাটি এক অপূর্ব
সৌন্দর্য্যের জন্ম দেয়। আর এ কারণেই
বড়কল উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায়
৮টির মতো ঝর্ণা থাকলেও এই ঝর্ণাটি
দেখতেই বছরে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক
লোকের সমাগম ঘটে। তাছাড়া এই
ঝর্ণাটির পানির উপর থেকে পতনের সময়
খুব সীমিত জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে
বলে পর্যটকরা ঝর্ণাধারা উপভোগ করতে
পারেন বেশ কাছ থেকেই।
ভরা বর্ষা মৌসুমে মূল ঝর্ণার জলধারা
প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে নীচে আছড়ে
পড়ে এবং অপূর্ব সুরের মুর্ছনায় পর্যটকদের
মুগ্ধ করে। ঝর্ণার এই সৌন্দর্য পর্যটকদের মন
ভরিয়ে দিতে যথেষ্ট। পাহাড়ের উপর
থেকে নেমে আসা ঝর্ণার পানি পাথুরে
মাটিতে আছড়ে পড়ার অপূর্ব দৃশ্য না
দেখলে বলে বোঝানোর নয়।
ইচ্ছে করলে স্নান করতে পারেন ঝরনার
শীতল পানিতে। ক্যামেরা দিয়ে ঝটপট
তুলে নিতে পারেন দুর্লভ কিছু ছবিও।
ঝর্ণা দেখা শেষ হলে কিছুক্ষণের জন্য
শুভলং বাজার ঘুরে আসতে পারেন।
এখানে সেনাবাহিনীর একটি ক্যান্টিন
রয়েছে। চাইলে সেখানে সেরে নিতে
পারেন চা-নাস্তা পর্ব।
তবে শুভলং এলাকায় থাকার কোন ব্যবস্থা
নেই। সুতরাং আপনাকে দিনে দিনেই
ফিরে আসতে হবে। তাছাড়া ওখানে
ভাল কোন খাবার হোটেল নেই। তাই
খাবার আপনারা সঙ্গে নিয়ে নিলেই
ভাল।
শুভলং ঝরনার প্রায় কাছাকাছি অবস্থিত
২২০০ ফুট উঁচু ‘শুভলং পাহাড়’। পাহাড় শীর্ষে
রয়েছে সেনাক্যাম্প ও টিঅ্যান্ডটি
টাওয়ার। পাহাড়ে ওঠার জন্য চমৎকার সিঁড়ি
কাটা আছে। এ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটদের
জন্য পাহাড় শীর্ষ থেকে চারপাশের অপরূপ
দৃশ্য আপনার ভেতরে লুকিয়ে থাকা কবি
মনটিকে জাগিয়ে তুলবে তা নিশ্চিত।আর
হ্যাঁ, শুভলং এলে সঙ্গে ক্যামেরাটি
আনতে ভুলবেন না যেন, তা না হলে
কিন্তু বঞ্চিত হবেন জীবনে দেখা প্রিয়
এক মুহূর্তের স্মৃতি ধরে রাখতে।

Comments

Popular posts from this blog

Michelangelo biography

Michelangelo Buonarroti was an Italian artist, poet, and sculptor who is widely considered to be one of the greatest artists of all time. Born on March 6, 1475, in Caprese, Italy, Michelangelo showed an early aptitude for art, and by the age of 13, he had become an apprentice to the painter Domenico Ghirlandaio. Over the course of his long and storied career, Michelangelo produced some of the most iconic and influential works of art in human history. Early Life and Education Michelangelo was born into a family of modest means in the small village of Caprese, Tuscany. His father, Ludovico Buonarroti, was a government official and member of the Florentine Buonarroti family. Michelangelo's mother, Francesca di Neri del Miniato di Siena, died when he was only six years old. After his mother's death, Michelangelo was sent to live with a stonecutter's family in Settignano, where he learned the art of sculpture. At the age of 13, he began an apprenticeship with the painter Domenic...

অল্প টাকায় করুন লাভ জনক ব্যবসা ৫ম পর্ব

আমদের দেশের সব চেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব,  আর এই বেকারত্ব এর দিক দিয়ে এগিয়ে আছে শিক্ষিত সমাজ। যারা অশিক্ষিত  তারা বিভিন্ন ছোট খাটো কাজ করে ঠিকি দিন পার করছে, তাই বলা যায় শিক্ষিত লোকি বেশি বেকার। তাই আমি কিছু অল্প টাকায় সম্মান জনক ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করলাম। অপ্ল টাকায় ইচ্ছে করলেই অনেক ব্যবসা করা যায়। তাহলে বসে না থেকে চলেন ব্যবসা করি। মোবাইলের চার্জার: আপনি অল্প টাকায় শুরু করতে পারেন মোবাইলের চার্জার এর ব্যবসা। আপনার এলাকায় যে মোবাইলের দোকান গুলো আছেএ, তাদের সাথে আলাপ করে তাদেরকে মোবাইল এর চার্জার সাপ্লাই দিতে পারেন। তার পর আস্তে আস্তে আপনার ইউনিয়নের মার্কেট দরতে পারেন। তার পর ফুল জেলা দরতে পারেন, আশা করি আপনার চাকুরির চেয়ে বেশি টাকা কামাতে পারবেন। মনে করেন- একটি মোবাইলের চার্জার কিনলেন ৫৫ টাকায়। আর বিক্রি করলেন ৬৫ টাকায়। তাহলে লাভ হচ্ছে ১০ টাকা। প্রতি দোকানিকে দিলেন ২০ পিস করে চার্জার, তাহলে ২০ দোকানিকে মাসে কমপক্ষে দিলেন ৪০০ চার্জার, তাহলে লাভ৪০০ গুন ১০ সমান ৪০০০ টাকা। ইয়ার ফোন : মোবাইলের ইয়ার ফোন কিনতে পারেন, ৫০-৫৫ টাকায়, তা বিক্রি করলেন ৬৫-৭০ টাকা...

তিউনিশিয়া

ঐতিহাসিক পটভূমিঃ তিউনিশিয়া পূর্বে পর্যায়ক্রমে ফিনিশীয়, কার্থেজীয়, রোমান, বাইজান্টাইন, আরব, স্পেন এবং তুর্কিরা শাসন করে। খ্রিষ্টপূর্ব ১২ শতকে ফিনিশীয়রা উত্তর আফ্রিক...