Skip to main content

৪র্থ টিউন মিডিয়াম টাকায় লাভ জনক যে ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারেন।

প্রথম ও দ্বিতীয় এবং ৩য় পর্বের পর অনেক সারা পেয়েছি, তাই এই ৪র্থ টিউনি করতে আগ্রহী হয়েছি,  আমরা যারা আমাদের আয় বাড়াতে চাই, তারা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু করতে চাই, বা যারা এখনো কিছু করতে পারছেন না, তারা কিছু শুরু করতে চান, তাদের জন্য আমার কিছু মিডিয়াম টাকায় ব্যবসার আইডিয়া মাথায় গুর পাক খাচ্ছে, তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম, প্লিজ ঠাণ্ডা মাথায় একটু পড়ে বুঝে দেখুন, আপনার না হলেও আপনার আসে পাশের কারো কাজে লাগতে পারে।
অনেকেই আছেন যারা ব্যবসা করতে চাচ্ছেন, কিন্তু সঠিক লাইন না জানার কারনে ব্যবসা করতে পারছেন না, তাদের জন্য আমার এই ক্ষুদ্র চেস্ট্যা।

কম্পিউটারঃ চায়না থেকে পাইকারি কম্পিউটারের পার্স এনে সেল করতে পারেন। আমাদের দেশের বাজারে কম্পিউটার পার্স এর চাহিদা প্রচুর, তাই শুরু করতে পারেন পার্সের ব্যবসা, রেম, মাদারবোর্ড, প্রসেসর, কি-বোর্ড, মাউস, হার্ড ডিক্স ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। DDR3 4gb ram চায়না থেকে মাত্র ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় কিনতে পাওয়া যায়, আপনি যদি এই ব্যবসায় মাত্র ৫ - ১০ লক্ষ টাকাও ডালেন, তাহলে প্রচুর লাভ পাবেন,
দরেন একটি রেমের দাম ১১৫০ টাকা, তাহলে ৫০০ পিস রেমের দাম হচ্ছে ৫,৭৫০০০ টাকা, আপনি ১৫০ টাকা লাভে রেম গুলো সেল করে দিলেন, তাওলে লাভ হচ্ছে ১৩০০ গুন ৫০০ সমান ৬,৫০০০০ টাকা।
আপনার যাবতীয় খরচ দরেন আরো ৫০০০ টাকা, তাহলে বাকি থাকে ৬,৫০০০০ থেকে ৫০০০ সমান ৬,৪৫০০০ টাকা, মানে সকল খরচ বাদ দিয়ে আপনার লাভ থাকবে ৬,৪৫০০০ থেকে ৫,৭৫০০০ সমান ৭০ হাজার টাকা, মাসে তিন বার আনতে পারবেন, আপনি লাইসেন্স ছাড়া।
বিঃদ্রঃ মালের দাম কম-বেশি হতে পারে।
ফ্লাস কার্ড বা টি এফ কার্ডঃ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতই আমাদের দেশেও মেমোরি কার্ড এর চাহিদা প্রচুর, তাই আপনিউ শুরু করতে পারেন, মেমোরি কার্ড এর ব্যবসা, মেমোরি কার্ড এর ব্যবসায় আজ পর্যন্ত কেউ লস খায় নি। কারন এই কার্ডের প্রাইজ বাড়ে কমে, তাই বাড়লে বিক্রি করে দিবেন। বা অল্প লাভেই বিক্রি করে দিবেন। ১৬ জিবি ভালো মেমোরি কার্ড কিনতে পারবেন ২৮০ - ২৮৫ টাকায়, আর তা পাইকারি বিক্রি করলে পাবেন ৩০০-৪০০ টাকা। তাহলে ১ হাজার মেমোরি কার্ডের দাম হচ্ছে মাত্র ২৮০ গুন ১০০০ সমান ২,৮০০০০ টাকা।
বিক্রি করতে পারবেন দরেন ৩১০ টাকা। তাহলে ৩,১০০০০ টাকা। খরচ দরেন ৩০০০ টাকা। তাহলে লাভ হচ্ছে ৩,১০০০০ বিয়োগ ৩০০০ বিয়োগ ২,৮০০০০ টাকা সমান ২৭ হাজার টাকা, আপনি যতো বেশি মাল কিনবেন ততো বেশি লাভ করবেন, কারন পাইকারি মালের দাম কমে বিক্রি হয়। তাহলে ব্যবসা জমে ক্ষির।
বিঃদ্রঃ বাজারের নরমাল নকল মাল এর প্রাইজ কম। ভালো মালের প্রাইজ দরা হয়েছে। এর কপি স্প্রিড বেশি।
 


স্টক লটের ব্যবসাঃ সহজ ভাষায় স্টক লট হচ্ছে- Garments & Textiles এ শীপমেন্ট ফেইল, বা অন্য কোন কারনে বাতিল হয়ে যাওয়া মাল এর স্তুপ। যা কি না কোন Garments & Textiles এর মালিক ই স্বপ্নেও আশা করেন না। একজনের দুর্ভাগ্য আর আপনার সৌভাগ্য। আপনি স্টক লটের ব্যবসাও করতে পারেন, তাই আপনার আশে পাশের Garments & Textiles যোগাযোগ রাখতে হবে GM, PM দের সাথে। তারাই আপনাকে খোঁজ দিবে। এছাড়াও এলাকার নেতাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন, তাড়াও এই ব্যপারে খোঁজ খবর রাখে, ভয় পেলেন নাকি, আরে ভাই ভয়ের কিছুই নাই, আমিত আছি নাকি। কারো কাছে না পেলে আমার কাছে পাবেন। যাই হোক - আপনি টি শার্ট, গ্যাঞ্জি, জিন্স প্যান্ট, গ্যাবাইডিং প্যান্ট, শার্ট দিয়ে প্রতমে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। বাজারে প্রচুর চাহিদা এই মালের। তাছাড়া বিদেশে হাত থাকলে আরো ভালো। স্টক লটের ব্যবসা হচ্ছে প্রচুর মাল কিনতে হবে এক সাথে। কারন ফ্যাক্টরিতে যখন মাল জমে যায় শুধু তখনি তা লট হিসেবে বিক্তি করে দেয়। যদি টাকা জমিয়ে না রেখে অল্প দিনে তুলে ফেলতে চান, তাহলে স্টক লটের ব্যবসা করতে পারেন।
ধরেন আপনি একটি Garments or Textiles থেকে একসাথে ৫০ হাজার পিস টি-শার্ট কিনলেন ৪০ টাকা করে, মোট- ২০,০০০০০ টাকা, সেই টি-শার্ট গুলো বিক্রি করলেন ১৫-২৫ টাকা লাভে। তাহলে ২০ টাকা লাভে আপনি পাচ্ছেন ১০,০০০০ টাকা।
সমস্ত খরচ ১,০০০০০ টাকা দরেন, তাহলে থাকবে ৯,০০০০০ টাকা লাভ, এইটা কিন্তু খারাপনা ব্যবসা।
বিঃদ্রঃ মার্কেট দেখে বুঝে মাল কিনতে পারলেই লাভ, মনে রাখবেন আপনাকে মাল কেনার টাইমেই লাভ করতে হবে, বিক্রির টাইমে নয়।
এনার্জি লাইটঃ চায়না থেকে এনার্জি লাইট এনে দেশে বিক্রি করতে পারেন, কিন্তু এর একটু খরচ বেশি পরে, যদি আপনি ২৬ ওয়াড এর একটি লাইট চায়না থেকে ৬০ টাকায় কিনে আনেন সমস্ত খরচ সহ, তাহলে আপনাকে অনেক বেশি পরিমানে আনতে হবে। আপনি অল্প করেই আনলেন তাই ১০ হাজার পিস দরেন। ৬ লক্ষ্য টাকা। বিক্রি করতে পারবেন ৬৫ টাকা করে পাইকারি, খুচরা বিক্রি করলে লাভ বেশি। কিন্তু পাইকারি বিক্রি কলে এক সাথেই সব বেচা যায়।
তাহলে ১০,০০০ লাইট ৬০ টাকা করে ৬,০০০০০ টাকা। বিক্রি করতে পারবেন ৬৫ টাকায়, তাহলে লাভ ৫০,০০০ টাকা।
বিঃদ্রঃ মাল বেশি হলে লাভ বেশি। মাসে দুই-তিন বার আনলে আশা করি আপনাকে আর কাজের সন্ধানে ইউরোপ আমেরিকা যাওয়া লাগবেনা। আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন, যারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে উন্নত জীবন এর আশায় বিদেশ পারি দিতে চাচ্ছেন। বেশির ভাগ মানুষি নিঃস্ব হয়ে পথে শেষ হয়ে যাচ্ছেন। তাই বিদেশ না গিয়ে যদি বিদেশ যাওয়ার খরচ দিয়েই দেশে কাজ করতে পারেন, তাহলে পরিবারের লোক দের নিয়েও আপনি শুখেই থাকতে পারবেন। মনে রাখবেন শুখে থাকার জন্য খুভ বেশি টাকার প্রয়োজন নাই, অর্থই অনর্থের মূল।
এছাড়াও প্রচুর ব্যবসা আছে যা মিডিয়াম পুঁজি দিয়ে শুরু করতে পারেন। তাই আপনি কি ব্যবসা করতে পারেন, কি করলে আপনার ভালো হবে তা আপনিই ভালো বুঝেন।

বাকি টিউন দেখতে টেকটিউনের সাথেই থাকুন

এছাড়া আরও অনেক কিছুই বর্তমানে করতে পারেন, বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী অনেক ব্যবসাই আছে আমাদের চারি দিকে, একটু খুঁজ নিলেই করতে পারেন কম টাকায় ব্যাবসা, আরও কিছু জানার থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যতদূর পারি সাহায্য করবো।

Comments

Popular posts from this blog

Michelangelo biography

Michelangelo Buonarroti was an Italian artist, poet, and sculptor who is widely considered to be one of the greatest artists of all time. Born on March 6, 1475, in Caprese, Italy, Michelangelo showed an early aptitude for art, and by the age of 13, he had become an apprentice to the painter Domenico Ghirlandaio. Over the course of his long and storied career, Michelangelo produced some of the most iconic and influential works of art in human history. Early Life and Education Michelangelo was born into a family of modest means in the small village of Caprese, Tuscany. His father, Ludovico Buonarroti, was a government official and member of the Florentine Buonarroti family. Michelangelo's mother, Francesca di Neri del Miniato di Siena, died when he was only six years old. After his mother's death, Michelangelo was sent to live with a stonecutter's family in Settignano, where he learned the art of sculpture. At the age of 13, he began an apprenticeship with the painter Domenic...

তিউনিশিয়া

ঐতিহাসিক পটভূমিঃ তিউনিশিয়া পূর্বে পর্যায়ক্রমে ফিনিশীয়, কার্থেজীয়, রোমান, বাইজান্টাইন, আরব, স্পেন এবং তুর্কিরা শাসন করে। খ্রিষ্টপূর্ব ১২ শতকে ফিনিশীয়রা উত্তর আফ্রিক...

অল্প টাকায় করুন লাভ জনক ব্যবসা ৫ম পর্ব

আমদের দেশের সব চেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব,  আর এই বেকারত্ব এর দিক দিয়ে এগিয়ে আছে শিক্ষিত সমাজ। যারা অশিক্ষিত  তারা বিভিন্ন ছোট খাটো কাজ করে ঠিকি দিন পার করছে, তাই বলা যায় শিক্ষিত লোকি বেশি বেকার। তাই আমি কিছু অল্প টাকায় সম্মান জনক ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করলাম। অপ্ল টাকায় ইচ্ছে করলেই অনেক ব্যবসা করা যায়। তাহলে বসে না থেকে চলেন ব্যবসা করি। মোবাইলের চার্জার: আপনি অল্প টাকায় শুরু করতে পারেন মোবাইলের চার্জার এর ব্যবসা। আপনার এলাকায় যে মোবাইলের দোকান গুলো আছেএ, তাদের সাথে আলাপ করে তাদেরকে মোবাইল এর চার্জার সাপ্লাই দিতে পারেন। তার পর আস্তে আস্তে আপনার ইউনিয়নের মার্কেট দরতে পারেন। তার পর ফুল জেলা দরতে পারেন, আশা করি আপনার চাকুরির চেয়ে বেশি টাকা কামাতে পারবেন। মনে করেন- একটি মোবাইলের চার্জার কিনলেন ৫৫ টাকায়। আর বিক্রি করলেন ৬৫ টাকায়। তাহলে লাভ হচ্ছে ১০ টাকা। প্রতি দোকানিকে দিলেন ২০ পিস করে চার্জার, তাহলে ২০ দোকানিকে মাসে কমপক্ষে দিলেন ৪০০ চার্জার, তাহলে লাভ৪০০ গুন ১০ সমান ৪০০০ টাকা। ইয়ার ফোন : মোবাইলের ইয়ার ফোন কিনতে পারেন, ৫০-৫৫ টাকায়, তা বিক্রি করলেন ৬৫-৭০ টাকা...