বিসমিল্লাহীর রহমানীর রাহীম।
শারীরিক শ্রমে আমরা একটুতেই ঘেমে
উঠি। আবার গরমের দিনে কোন শ্রম
ছাড়াও আমরা ঘেমে উঠি। অনেকে
শরীর ঘেমে গেলে বিরক্ত বোধ হয়।
কারণ অস্বস্তি ছাড়াও ঘাম শরীরের
দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।কিন্তু তা হলে কী
হবে, আমাদের শরীরের জন্য এটা খুবই
দরকারী। কারণ আমরা না ঘামলে
আমাদের দেহে প্রতিদিন যে পরিমান
তাপ তৈরী হতো তা আমরা কিছুতেই
সহ্য করতে পারতাম না।
আসলেই এই তাপ ঘামের মাধ্যমে
স্বয়ংকৃতভাবে আমাদের দেহ থেকে
বেরিয়ে যায় এবং দেহকে ঠান্ডা
রাখে। আমরা প্রতিদিন যে খাবার
গ্রহণ করি তা ভেঙ্গে শক্তি উতপাদন
করার ফলে দেহে প্রচুর পরিমানে তাপ
তৈরী হয়। যখন আমরা দৌড়াই বা কোন
কাজ করি তখন আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস
বেড়ে যায় এবং সেই সাথে শরীরও
ঘামতে থাকে। আসলে দৌড়ানোর জন্য
শরীরের শক্তির প্রয়োজন, যা খাদ্য
পুড়িয়ে পাওয়া যায়।
শুধু দৌড়ানোর সময়ই নয়, সব সময়ই কিছু না
কিছু ঘাম বের হয়। এমনকি শীত কালেও
মানুষ ঘামে। কিন্তু বাতাসের আর্দ্রতা
কম থাকার কারণে শীতকালে ঘাম
শরীরে সাধারণত দেখা যায় না। মূলত
এভাবেই আমাদের শরীর ঠান্ডা
খাকে। আমাদের দেহে দুই-তৃতীয়াংশ
পানি। আর এই পানির বেশ বড় একটি
অংশ দেহকে ঠান্ডা রাখতে ঘামের
মাধ্যমে বের করে দেই।এ কারণেই
আমাদের প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে
পানি পান করতে হয়।
আমাদের পুরো দেহে প্রায় ২০
লাখেরও বেশী ঘর্মগ্রন্থি আছে। এসব
গ্রন্থি আবার দুই প্রকারের। অ্যাক্রাইন
এবং অ্যাপ্রোক্রাইন গ্রন্থি। সাধারণত
অ্যাক্রাইন প্রন্থিগুলো কপাল, হাতের ও
পায়ের তালুতে এবং অ্যাপ্রোক্রাইন
গ্রন্থিগুলো চুলের গোড়ায় থাকে। এসব
গ্রন্থি দিয়েই দেহ থেকে ঘাম বেব হয়।
ঘামের মধ্যে সাধারণত পানি ও লবণ
থাকে
এমনিতে ঘামের কোন গন্ধ নেই। প্রশ্ন
জাগে, তাহলে শরীর ঘামলে শরীরে
দর্গন্ধ হয় কেন? ঘামার পর শরীরের
ব্যাবটেরিয়া যখন সেটাকে পচিয়ে
ফেলে তখনই ঘামের দুর্গন্ধ বের হতে
থাকে। তাই সময় থাকতে শরীর
পরিস্কার-পরিছন্ন রাখা দরকার।
Comments
Post a Comment