বগা লেক বা বগা হ্রদ বাংলাদেশের
সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির একটি হ্রদ।
বান্দারবান শহর থেকে প্রায় ৭০
কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। রুমা বাজার
থেকে দুইভাবে বগা লেকে যাওয়া যায়।
আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী প্রিয় হন
তো হেঁটে রওনা দিতে পারেন অথবা
শুস্ক মৌসুমে যেতে পারেন চাঁন্দের
গাড়ি করে। আপনি যে ভাবেই যান না
কেন,রুমা বাজার থেকে বাধ্যতামুলক
ভাবে সাথে অন্তত একজন গাইড নিতে
হবে এবং রিপোর্ট করতে হবে রুমা আর্মি
ক্যাম্পে। । গাইডকে প্রতিদিন ৩০০ টাকা
করে দিতে হবে। চান্দের গাড়ি রিজার্ভ
করলে আড়াই হাজার টাকা পড়বে। হাঁটা
পথে ঝিরিপথ ধরে গেলে সময় লাগবে ৫
ঘন্টার মত। এই পথে আপনাকে পাড় হতে
হবে অসংখ্য ছোট বড় পাহাড়ি ধিরি। আর
শুস্ক মৌসুমে চাঁন্দের গাড়িতে গেলে
সময় লাগবে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মত। পথে
পরবে অনেক ছোট বড়ো টিলা। কোন
কোন সময় চাঁন্দের গাড়ি এতটাই বাঁকা
হয়ে উপরে উঠতে থাকে যে, তখন সামনে
আকাশ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাওয়া
যায় না। শুস্ক মৌসুমে সাঙ্গু নদীতে পানি
না থাকা এক সময় চাঁন্দের গাড়ি সাঙ্গু
নদী ও পাড় হবে। যাওয়ার পথে কখনো
পড়বে বিশাল পাহাড়ি কলার আর নাম না
জানা অনেক ফলের বাগান। বগা লেকের
নিচ থেকে ট্রাকিং করে উপরে উঠতে
আপনার সময় লাগবে ৪৫ মিনিটের মতন।
প্রায় দুই হাজার বছর আগে প্রাকৃতিক ভাবে
পাহাড়ের চূড়ায় এই লেক তৈরি হয়। এর
আয়তন ১৫ একর। এই হ্রদটি তিনদিক থেকে
পর্বতশৃঙ্গ দ্বারা বেষ্টিত। এই শৃঙ্গগুলো
আবার সর্বোচ্চ ৪৬ মিটার উঁচু বাঁশঝাড়ে
আবৃত। থাকা এবং খাবার জন্যে লারাম বম,
সিয়াম বম (স্থানীয় স্কুল টিচার সিয়াম
দিদি) সহ কয়েকটি দোকান আছে।
প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে রাতে
থাকার ও তিন বেলা খাবার ব্যাবস্থা হয়ে
যাবে।
বমদের গ্রামটা খুব একটা বড় নয়। হাতে সময়
নিয়ে আপনি ঘুড়ে দেখতে পারেন পুরো
গ্রাম।
বগালেকের সবচেয়ে সুন্দর হল রাত।
সিয়াম দিদির হাতে রান্না করা রাতের
খাবার শেষে কিছুক্ষন বগালেকের পাড়ে
পাথরের উপর বসে থাকুন। কিছুক্ষনের ভিতর
সমস্ত বন জেগে যাবে। চোখ বন্ধ করে
শুনুন সে শব্দ। নিশ্তব্ধতার ভিতরে ঝিঝি
পোকার ডাক, নাম না জানা নিশাচর
পাখির ডাক। অনুভব করুন, মনে হতে থাকবে
শব্দগুলো ক্রমশ আপনার দিকে এগিয়ে
আসছে। এ রকম রাত বোধ হয় জীবনে
একবার ই আসে।
সকাল, সন্ধ্যা বা রাতে প্রতি বেলায়ই বগা
লেক নতুন রূপে ধরা দেয়। বগালেক
থেকে কেওকারাডাং খুব কাছেই।আপনি
ইচ্ছা করলে আপনার ভ্রমন তালিকায় যোগ
করতে পারেন।
১.উচ্চ রক্তচাপে রসুন খুবই উপকারী একথা গবেষণায় প্রমাণ করেছেন জার্মান চিকিৎসকগণ। ২.রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে রসুনের ভূমিকা কার্যকরী। ৩.বাতের ব্যাথায় বা কোন আঘাত প্রাপ্ত স্থানে সরিষার তেলে রসুন গরম করে ম্যাসেজ করলে ব্যাথা লাঘব হয়। ৪.দাঁতের ব্যাথায় রসুন ব্যবহারে ব্যাথা কমে যায়। ৫.সম্প্রতি গবেষণায় জানা গেছে রসুন একাধারে ভাইরাসরোধী, ছত্রাকরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী পেনিসিলিনের মতো জীবাণুনাশক। ৫.ইকোলাই এবং টাইফয়েড জীবাণুধ্বংস করার মতো ক্ষমতা রাখে রসুন। ৬.রসুন খেলে অন্ত্রের জীবাণু ধ্বংস হয়ে পেটের সমস্যা নিরাময় হয়।
Comments
Post a Comment