ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে সুগার
বা গ্লুকোজ এর পরিমান অত্যধিক
বেড়ে গেলে ডায়াবেটিক কোমা
(Diabetic coma) হতে পারে। যাদের
রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রনের জন্য ইনসুলিন
ব্যবহার করতেই হয় সাধারণত তারাই এমন
অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন।
ডায়াবেটিক রোগী নির্দিষ্ট সময়ের
ইনসুলিন
একেবারে না নিলে অথবা অপর্যাপ্ত
পরিমানে নিলে এমন ঘটনার সূত্রপাত
ঘটতে পারে। এ সময় রোগীর
রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা অত্যধিক
বেড়ে যায় কিন্ত সে গ্লুকোজ শরীর
কাজে লাগাতে পারেনা ফলে বাধ্য
হয়ে শরীর তখন শক্তি সরবরাহের জন্য
চর্বি ভাংতে শুরু করে। অস্বাভাবিক
ভাবে এই চর্বি ভাঙ্গার
ফলে রক্তে কিটো এসিড (Kito acid) নামক
কিছু ক্ষতিকারক পদার্থ জমা হয়। এক সময়
এই কিটো এসিডের
মাত্রা বেড়ে গিয়ে রক্তের
এসিডিটি বেড়ে যায় (Diabetic kito
acidosis) এবং রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়।
এর নাম ডায়াবেটিক কোমা (Diabetic
coma)।
খাবার পরেও খুব বেশী ক্ষুধা লাগা, খুব
বেশী পিপাসা লাগা, ঘন ঘন প্রস্রাব
হওয়া, বমি বমি ভাব হওয়া, মাথা ধরা,
ঝিমঝিম ভাবলাগা, শ্বাস কষ্ট হওয়া,
দূর্বল বা নিস্তেজ লাগা, অসুস্থ বোধ
হওয়া,
চোখে ঝাপসা দেখা কিংবা শ্বাসের
সাথে মিষ্টি ফলের মতো একটা গন্ধ
আসা ইত্যাদি Diabetic coma’ র লক্ষণ।
এমনটি হলে সাথে সাথে লবন
পানি খেয়ে শরীরের
পানি শুন্যতা রোধ
করতে হবে এবং ইনসুলিন নিতে হবে।
সম্ভব
হলে রক্তে অথবা প্রস্রাবে অতিরিক্ত
সুগার যাচ্ছে কিনা নিশ্চিত
হয়ে নিতে হবে। বাসায় প্রাথমিক
চিকিৎসা নেয়ার পরপরই ডায়াবেটিক
বিশেষজ্ঞের স্মরনাপন্ন হওয়া উচিত।
Comments
Post a Comment