পৃথিবীর সকল মানুষ আলাদা ধরণের
বুদ্ধিমত্তা এবং সকল বিষয় বিচার-
বিশ্লেষণের ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।
প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ
ক্ষেত্রে ভিন্ন। কেউ কেউ নেতৃত্ব
দিতে পছন্দ করেন আবার কেউ
আড়ালে থেকে কাজ করে চলেন
পুরো জীবন। কারো বুদ্ধিমত্তা সকলের
কাছে সমাদৃত আবার কেউ নিজের কম
বুদ্ধির জন্য সকলের কাছে হাসির পাত্র।
এভাবেই প্রত্যেকটি মানুষ তার পছন্দ ও
নিজস্ব চিন্তাভাবনার
কারণে আলাদা পরিচয় বহন করে। যদিও
একেক ধরনের মানুষ একেক ধরণের
ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন, কিন্তু
বিজ্ঞানীদের মতে মানুষের
আলাদা বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তা ভাবনা
পেছনে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন শারীরিক
উচ্চতা।
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই
সত্যি।
বিজ্ঞানীরা গবেষণা দ্বারা প্রমান
করেছেন যে মানুষের
বুদ্ধিমত্তা, বেঁচে থাকার সময়,
টাকাপয়সা সহ জীবনের নানান বিষয়
মানুষের শারীরিক
উচ্চতা বহন করে থাকে। আসুন
তবে জেনে নিন আপনার
শারীরিক উচ্চতা আপনার
সম্পর্কে কি বলে।
জীবনের আয়ু:::
মানুষের জীবনমৃত্যু সবই
জীবনের নিয়মে ঘটে।
কখনো দুর্ঘটনাবশত মৃত্যু
ঘটে থাকে অনেকের। কিন্তু
সাধারণভাবে বিজ্ঞানের
ভাষায় বলতে গেলে লম্বা মানুষের
তুলনায় খাটো মানুষ বেশিদিন
বাঁচেন। বিজ্ঞানীরা মানুষের
ওপর গবেষণা করে দেখেন
যে খাটো মানুষ যাদের
উচ্চতা ৫ ফিট ৪ ইঞ্চির
নিচে তারা লম্বা মানুষের
তুলনায় গড়ে প্রায় ২ বছর
বেশি সময় বেঁচে থাকেন। এর
কারণ
হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলেন
লম্বা মানুষের ডিএনএ খাটো মানুষের
তুলনায় দ্রুত
ড্যামেজ হয়ে যায়। এবং লম্বার
কারণে শরীরে খুব দ্রুত
টিস্যুর স্থানের পরিবর্তন হয়
যা জীবনের আয়ু কমিয়ে দেয়।
এই
গবেষণা লম্বা এবং খাটো মহিলা এবং পুরুষ
উভয়ের জন্য।
বুদ্ধিমত্তা:::
মানুষ কথায় কথায় বলেন
‘লম্বা মানুষের
বুদ্ধি হাঁটুতে থাকে’ অর্থাৎ
সবার মতে লম্বা মানুষের
বুদ্ধি কম থাকে। কিন্তু
বিজ্ঞানীরা এর পুরোপুরি বিপরীতে।
২০০৬
সালের ‘প্রিন্সেটন
ইউনিভার্সিটির’ গবেষকগণ
তাদের গবেষণায় দেখতে পান
লম্বা মানুষ খাটো মানুষের
তুলনায় মাথায় বেশি বুদ্ধি রাখেন।
কিন্তু মূল
ব্যাপার হলো খাটো মানুষের
তুলনায় লম্বা মানুষ একটু
কূটবুদ্ধি কম বোঝেন।
ইউনিভার্সিটি অফ
কলোরাডোর গবেষকগণ একই ধরণের
গবেষণার রিপোর্ট
দেন।
আয় উন্নতি:::
ইউনিভার্সিটি অফ সিডনীর
গবেষকগণ তাদের
গবেষণা প্রায় ২০,০০০ মানুষের
ওপর চালিয়ে দেখেন
লম্বা মানুষেরা খাটো মানুষের
তুলনায় জীবনে বেশি আয়
উন্নতি করে থাকেন।
লম্বা মানুষের জীবনে অনেক
উন্নতি আসে। তারা গবেষণায়
বের করেন উচ্চতার
ভিত্তিতে টাকাপয়সা আয়ের
পরিমাণ কমতে থাকে।
জীবনসঙ্গী:::
বায়োলজিক্যাল
সাইকোলজি নামক
বইয়ে সাইকোলজিস্ট ডঃ নিক
বলেন’লম্বা মানুষের তুলনায়
খাটো মানুষের
জীবনসঙ্গী হিসেবে চাহিদা অনেক
কম, কিন্তু লম্বা মানুষের
তুলনায় খাটো মানুষ
জীবনসঙ্গী হিসেবে বেশি ভালো এব
হয়’। লম্বা মানুষের
মধ্যে সামান্য মানসিক
চাপে নিজের
জীবনসঙ্গীকে ছেড়ে চলে যাওয়ার
প্রবণতা বেশি দেখা দেয়।
কিন্তু খাটো মানুষেরা নিজের
জীবনসঙ্গীর ব্যাপারে অনেক
বেশি অনুভূতিশীল হয়ে থাকেন।
এই তথ্যটি নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্য।
জীবনের লক্ষ্য:::
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট
ডঃ মিরিয়াম ল স্মিথ বলেন
লম্বা মানুষেরা জীবনের
লক্ষ্যের ব্যাপারে অনেক
বেশি নিষ্ঠাবান থাকেন।
তারা নিজেদের জীবনের
লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য
পেছনে ফিরে দেখেন না।
ডঃ স্মিথ এর
মতে এটি লম্বা মানুষের
সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড
যা দেহের ওপর নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
লম্বা নারীরাও
নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ
নিষ্ঠার সাথে কাজ করে চলেন
যেখানে একজন
খাটো নারী নিজের সংসার
নিয়ে ভাবতে থাকেন।
স্টিরলিং ইউনিভার্সিটির
গবেষকগণ এই তথ্য প্রকাশ
করেন।
Comments
Post a Comment