ধূমপান করবেন না: বিশেষজ্ঞদের
গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে যে,
খাওয়ার পর একটি সিগারেটের
ধূমপানে ১০টি সিগারেটের সমান
ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ায়।
ফল খাবেন না: ফল প্রক্রিয়াজাত
খাবারের মত সহজপাচ্য নয় বিধায় মূল
খাবারের সাথে ফল
খেলে তা পাকস্থলীতেই
জমা হয়ে থাকে। সেই ফল নিজে নষ্ট হয়
সাথে পাকস্থলীর অন্যন্য খাবরের
উপাদানগুলোকেও নষ্ট করে দেয়।
কাজেই মূল খাওয়ার অন্তত এক
ঘন্টা আগে বা পারে অথবা সকালে
খালি পেটে ফল খাওয়াই উত্তম।
সকালে ফল খেলে সারাদিনের কর্ম
প্রবাহের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি ও পুষ্টির
ভাল যোগান হতে পারে।
চা পান করবেন না: চায়ের পাতায়
উচ্চমাত্রায় অম্ল থাকে। সেই অম্ল
খাবারের পুষ্টি উপাদানগুলোর যথার্থ
হজমে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে শরীর কাঙ্ক্ষিত
পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। মূল খাবরের এক
ঘন্টা পর চা পান করাই উত্তম।
কোমরের বেল্ট ঢিলা করবেন না: ভাল
খাবার সামনে পেলে ভালমত
পেটপুরে খাওয়ার জন্য কেউ
হয়তো কোমরের বেল্ট ঢিলা করলেন।
তাতে হয়তো খাওয়ায় আরাম হ’ল কিন্তু
খাওয়ার মাত্রা অনেক বেড়ে গে’ল।
যা অস্বস্তির কারণ হওয়া ছাড়াও
অস্বাভাবিক মাত্রায় ভোজনের
ফলে ক্ষদ্রান্ত্র মোচড়
খেয়ে প্রতিবন্ধকতারও
সৃষ্টি করতে পারে। কাজেই বেল্ট
ঢিলা না করে যে পরিমান খাবার
খেয়ে স্বস্তিবোধ করা যায় ঠিক ততটুকুই
খাওয়া উচিৎ।
স্নান করবেন না: খাওয়ার পর স্নান
করলে পা মাথা ও সমস্ত শরীর জুড়ে রক্ত
প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় হজমের জন্য
পাকস্থলীতে যে পরিমান রক্ত
সঞ্চালনের প্রয়োজন তার ঘাটতি হয়।
ফলে পাচনতন্ত্র দূর্বল হয়ে পড়ে, ঠিকমত
হজম হয় না।
হাঁটবেন না: খাওয়ার পরপরই
হাঁটাটা ক্ষতির কারণ। এর
ফলে পাকস্থলীতে প্রয়োজনীয় অম্ল
নিঃস্বরণে ভাটা পড়ে ও হজমে বিঘ্ন
ঘটে। কাজেই খাওয়ার অন্তত আধঘন্টা পর
হাঁটা উচিৎ। যুক্তরাস্ট্রের সাউথ
ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের
‘ডিপার্টমেন্ট অব এক্সারসাইজ
সায়েন্স’ এর গবেষণায় জানা যায়;
ব্যায়ামের পর হাঁটা শরীরের উদ্বৃত্ত
শক্তি ক্ষয়ের জন্য এক আদর্শ পন্থা।
উল্লেখ্য যে, পাকস্থলীতে অম্ল
নিঃস্বরণে ভাটা পড়ে যেন কোনরূপ
অস্বস্তির কারণ না ঘটে সেজন্য
খাওয়ার অন্তত ২০-৩০ মিনিট পর
ধীরগতিতে ১০ মিনিট হাঁটাই উত্তম।
ঘুমাবেন না: খাওয়ার
সাথে সাথে ঘুমালে খাবার ঠিকমত
হজম হয় না। ফলে পাকস্থলী ও
ক্ষদ্রান্ত্রে গ্যাস্ট্রিক ও প্রদাহ
সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
সবাই সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment