ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন মিয়ানমারের বিরোধী দলীয় নেত্রী অং সান সু চি, যিনি সে দেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রবক্তা অভিধায় খ্যাত, আজ পর্যন্ত তাঁকে আরাকানে নৃশংস মুসলিম গণহত্যা বন্ধে কোন জোরালো বক্তব্য বা ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। মুসলিম নেতৃবৃন্দ তাঁর সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে তাঁর হস্তক্ষেপ কামনা করলেও তিনি দায়সারা গোছের একটি বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। অথচ আরাকানসহ মিয়ানমারের বহু মুসলিম তাঁর রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসী এর সদস্য। প্রায় ২৪ বছর অং সান সু চি কারাবন্দি ছিলেন। তাঁর মুক্তির দাবীতে যারা রাজপথে অন্দোলন করেন তাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মুসলমান। তাদের প্রত্যাশা ছিল সু চি মুক্তি পেলে সামরিক স্বৈরশাসনের অবসান ঘটবে এবং সর্বস্তরের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে; অবসান ঘটবে মুসলমানদের উপর পরিচালিত রাস্ট্রীয় দমন নিপীড়ন। বৌদ্ধরা সংখ্যাগরিষ্ট হলেও মিয়ানমার বহু জাতিগোষ্ঠীর দেশ। ৬,৭৬,৫৭৮ কি.মি. আয়তনের এ দেশে মোট জন সংখ্যা ২০১০ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী ৬ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর অ...